ক্ষেতলালে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ৭ জন।

ক্ষেতলালে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ৭ জন।

180545440 978639982931918 2926034566920793749 N

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে জোড়পূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা , ৭ বখাটে আটক। লজ্জায় অভিমানে ছাত্রীর বিষপান।
থানায় মামলা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সময় উপজেলার আটি দাশড়া গ্রামের হিন্দু ধর্মের শরৎ চন্দ্র বর্মণ এর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা স্কুল ছাত্রী ডলি রানী বর্মন (১৫) তার নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছিল। এ সময় সাত বখাটে তরুন জোড়পূর্বক বাড়ীতে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে ওই ছাত্রী ও তার মা বাঁধা দিলে বখাটে তরুণ শিহাব ও তার সহযোগী ছয়জন তরুণ ওই ছাত্রীকে ঝাপটে ধরে। তাকে বাড়ী থেকে টেনে বের করে আনার সময় ওই ছাত্রী ও তার মা’র চিৎকার দিলে পার্শের বাড়ীর লোকজন এসে বখাটেদের হাত থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং বখাটেদের আটকে রাখে। ঘটনাটি ক্ষেতলাল থানা পুলিশকে জানালে ওসি নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল ও ওসি তদন্ত শাহ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই সাত জন বখাটে তরুণকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা হলো উপজেলার ধনকুড়াইল গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে শিহাব (১৯),আসমত আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম(১৯),ইসলাম পুর গ্রামের ইব্রাহিম এর ছেলে মোমিন (১৮), রামপুরা গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে আশরাফুল (১৯), খলিলুর রহমানের ছেলে লিটন (১৯), সূর্যবান গ্রামের আজিমদ্দিন এর ছেলে ইমন (১৮), আটিগ্রামের ছামছুল আলম এর ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম (১৯)।
অপরদিকে মেয়েটি লজ্জায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করলে তার পরিবার ও স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা (শরৎ চন্দ্র বর্মণ) বাদী হয়ে ওই সাত বখাটেদের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
স্কুল ছাত্রীর মা (পলি রানী) বলেন, আমার মেয়ে ক্ষেতলাল প্রাইভেট পড়তে যায়। সেখানে যাওয়া আসার সময় শিহাব নামের ছেলেসহ অন্যান্য কয়েক জন ছেলে আমার মেয়েকে রাস্তায় প্রায় উক্ত্যেত্ত করে। ওই ছেলেরায় বাড়ীতে এসে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মেয়েটি লজ্জায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করে।
ক্ষেতলাল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার মেহেদী আশিক পার্থ বলেন,অপহরণ নয় বরং মেয়েটি প্রেমের টানে স্বেচ্ছায় প্রেমিক ও তার বন্ধুদের সাথে আসার পথে মেয়েটির অভিভাবক ও প্রতিবেশীরা আটক করে থানায় অপহরণের মামলা দেয়।
ক্ষেতলাল থানা ওসি নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, এ ঘটনার জড়িত সাত জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ছেলেগুলো কিশোর কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ,এরা সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক।
-ফারুক হোসেন (৯৮৪)
জয়পুরহাট প্রতিনিধি।

Please Share This Post in Your Social Media

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Rayhan